জঙ্গিদের মামলা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

0
65

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান।
গতকাল শনিবার ত্রৈমাসিক বিচারিক সম্মেলনে জেলা জজ তাঁর অধীন বিচারকদের এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো বিচারক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে করা মামলা নিষ্পত্তি করতে ভয় পান, আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। আমি নিষ্পত্তি করব।’
গতকাল ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা জেলা, মহানগর ও মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারকেরাসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আইনজীবীদের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্মেলনে পুরোনো ও চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং আদালতে সাক্ষীদের হাজির করার ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়। জঙ্গিসংশ্লিষ্ট মামলায় জামিন, মামলার নথিপত্র বা আলামত সংরক্ষণ এবং মামলা পরিচালনায় সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা নিয়ে কথা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান বলেন, যাঁরা সৎ নন, তাঁদের বিচারক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আদালতে পুলিশ, আইনজীবী সবাইকেই সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনো মামলায় সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারককে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে। বিচারের জন্য মানুষ বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরবেন, এটা হওয়া উচিত নয়।
এস এম কুদ্দুস জামান বলেন, জমিজমা নামজারিসংক্রান্ত দেওয়ানি মোকদ্দমায় সরকারকে পক্ষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু জেলা প্রশাসন অনেক সময় তা না বুঝেই এ ধরনের মামলাগুলোতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
এ সময় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদ হোসেন বলেন, মামলার আরজি, সময়মতো সমন না পাওয়া ও জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত কারণে পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়। আর এই বিষয়গুলো দেখে থাকে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. রুহুল আমিন, মুখ্য বিচারক হাকিম জেসমিন আরা বেগম, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা জজ ইসমাইল হোসেন, বিচারক শাহাদত হোসেন, সাউদ হাসান, এ বি এম ইসমাইল হোসেন, দেবাশীষ অধিকারী, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন, এমদাদ হোসেন, ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান, সরকারি কৌঁসুলি ফকির দেলোয়ার হোসেন ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুবুর রহমান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY