দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ও তার আগে জাপানের সেনাশিবিরে জোরপূর্বক যৌনকাজে নিযুক্ত কোরীয় নারীদের (কমফোর্ট ওমেন) জন্য জাপানের অর্থ সহায়তায় তহবিল গঠনকে কেন্দ্র করে সিউলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ বৃহস্পতিবার প্রায় ৬৮ কোটি টাকার এই তহবিল গঠনের জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক নারী ও মানবাধিকার কর্মীর মতে, আইনি দায়িত্ব না নিয়ে জাপানের এভাবে শুধু ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।
কোরীয় উপদ্বীপে ‘কমফোর্ট ওমেন’ শব্দটির সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে আছে। এই ইস্যুটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে জাপান ও কোরিয়ার মধ্যে টানাপোড়েনও চলেছে। ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ে অপশাসনের প্রতীক হিসাবেও দেখা হয় ‘কমফোর্ট ওমেন’ ইস্যুটিকে। সম্প্রতি জাপান এই নারীদের প্রতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেও এই তাঁদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো আইনি দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ ইস্যুতে ক্ষমা চাওয়ার অংশ হিসেবে ‘কমফোর্ট ওমেনদের’ মধ্যে যে অল্প কয়েকজন এখনো বেঁচে আছেন তাঁদের জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬৮ কোটি টাকা) এই তহবিল গড়ে তোলার বিষয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া একটি ‘চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয়’ চুক্তি করতে সম্মত হয়। তবে শুরু থেকেই এই চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক নারী ও মানবাধিকার কর্মী।