কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া হররা বেলে মাঠ এলাকায় জোর করে মানুষ চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল করে নিয়েছে সাত্তার মোল্লা নামে এক ব্যক্তি । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর আগে জৈনিক ব্যক্তি সাত্তার মোল্লা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয়,হেলাল উদ্দিন, শামসের, খোকা, হাবিবুর রহমান,মানিক, নাজিম উদ্দিন,রিয়াজ উদ্দিন বাদশা,রেবেকাসহ ২০টি পরিবারের কাছে রাস্তার জায়গাটি বিক্রয় করে । বিক্রয় করার সময় বিক্রেতা সাত্তার মোল্লার সাথে ক্রেতাগনের শর্তছিলো ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রিত ঐ রাস্তার জায়গার প্রতি কোন দাবি দাওয়া রাখবেন না । কিন্তু বর্তমান সময়ে ঐ জমির দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়াই জোর করে রাস্তার জমি দখল করে পূনরায় ক্রয় করতে ক্রেতাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে বেশকিছু দিন ধরে । কিন্তুু ক্রেতাগন নতুন করে রাস্তার জমি ক্রয় করতে অপারগতা প্রকাশ করে । ক্রেতাগনের দাবি তারা ন্যায্যমূল্য দিয়ে ১৫ বছর পূর্বে রাস্তার জমি ক্রয় করেছে । ঐ রাস্তার জমি যখন ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছিলো এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । ক্রয়-বিক্রয় কালে উপস্থিত এলাকার তৎকালীন মেম্বর হারুন’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে ন্যায্যমূল্য দিয়ে ক্রেতারা ঐ রাস্তার জমি ক্রয় করে আমি সে সময় মধ্যস্ততার মাধ্যমে ভুক্তভোগি পরিবার গুলোর চলাচলের জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে সমযোতার মাধ্যমে জমির মূল্য পরিশোধ করি এবং রাস্তার জায়গাটি নির্ধারন করে দিই । ক্রেতাদের সাথে বিক্রেতার শর্ত ছিলো তিনি আর কোনদিন ঐ জমির উপর কোন দাবি দাওয়া রাখবে না । ঐ রাস্তার জায়গাটি বন্ধকরে দিলে ১৫-২০টি পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে । আমরা এলাকার লোকজন অনেকবার বিষয়টি নিয়ে সাত্তার মোল্লার সাথে কথা বলে ঐ পরিবার গুলোর অসুবিধার কথা জানালেও সে টাকার লোভে নতুন করে রাস্তার জায়গাটি বিক্রয়ের কথা বলে । এমতাবস্থায় গতকাল ২৯ জুন জমির পূর্ব মালিক সাত্তার মোল্লার বড় ছেলে আসলাম মোল্লা,ছোট ছেলে উসমান মোল্লাসহ কয়েকজন দূর্বৃত্ত গতকাল সকালে রাস্তার জায়গাটি কেটে তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে । রাস্তাটি কেটে ফেলায় বর্তমানে ভুক্তভোগি পরিবার গুলো চলাচলে চরম দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে । ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তাটি বন্ধকরে দিলে পরিবার গুলোর চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে । আর এই সুযোগটি নিচ্ছে জমির পূর্ব মালিক সাত্তার মোল্লা ও তার ছেলেরা । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ পরিবার গুলোর চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নেই । এই রাস্তাটি বন্ধহলে পরিবারগুলোর বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে । তাই এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি পরিবার গুলো দেশসেরা জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছে অসহায় পরিবার গুলোর ভোগান্তি লাঘবে বিধিবিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।