পাঁচবিবির এল বি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সমস্যায় জর্জরিত

0
301

সাজেদুল ইসলাম টিটু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা: জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এল বি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষক সংকট, অভ্যন্তরীন ও সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার না করা এবং প্রধান শিক্ষকের অনিয়মিত উপস্থিতির কারনে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৮৭ সালে জাতীয় করণ করা হয়। মোট ছাত্র সংখ্যা ৫‘শ ৮৭ জন। প্রধান শিক্ষক সহ ২৬টি পদের মধ্যে ১৫টি শিক্ষক পদ খালী রয়েছে। বাংলায় ৩টি, ইংরেজিতে ৩টি, গণিতে ৩টি, সামাজিক বিজ্ঞানে ২টি, জীববিজ্ঞানে ১টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ২টি ও চারুকলা বিষয়ে ১টি পদ দীর্ঘদিন থেকে খালি থাকায় ঠিকমতো ক্লাস হয় না। সিলেবাস অসমাপ্ত রেখেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হয়। এক সময়ে রাজশাহী বিভাগের নাম করা এই বিদ্যালয়টি এখন ফলাফলের দিক থেকে উপজেলায় শুনাম ধরে রাখতে পারছে না। এ বছর এস,এস,সি পরীক্ষায় মাত্র ৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফল বিপর্যয়ের কারনে সচেতন অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয় না। আই,সি,টি ক্লাসে কম্পিউটার ও প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয় না। প্র্যাকটিক্যাল করানো হয় না। খেলা ধুলার সরঞ্জামাদি ও স্কাউট দলের ড্রেস নেই। অথচ এসব খাতে অর্থ আদায় করা হয়। প্রতি মাসে ৭৫ টাকা করে টিফিন ফি নেয়া হলেও ১০ থেকে ১২ দিন খেতে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। যদি কোনদিন আসেন তবে রুম থেকে বের হন না। একদিন (ট্রেনযোগে) অফিস করতে প্রধান শিক্ষককে ১৮০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়। এখন পর্যন্ত কোন ক্লাসে খোঁজ খবর নিতে আসেন নি বলে ছাত্ররা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিলরুবা রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকে নানান কথা বলবেই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। মিটিং ডেকেও তাকে পাওয়া যায় না। অভ্যন্তরীন ও সরকারি তহবিলে সদ্ব্যবহার করেন না। এসব বিষয়ে এডিসি (জেনারেল) কে প্রধান করে তদন্ত কমিটি হয়েছে।

LEAVE A REPLY