দৌলতপুরে ১০ টাকা কেজি’র চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে ডিলারশীফ বাতিল

0
862

রনি অাহমেদঃকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে দুই ইউনিয়নের ডিলারশীফ বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে তদন্ত শেষে ডিলারদের অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় তাদের ডিলারশীফ বাতল করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১০ টাকা কেজি দরের সেপ্টেম্বর মাসের চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিক্রয় না করে উপজেলার রিফায়েতপুর ও মথুরাপুর ইউনিয়নের ডিলার তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানা খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১২ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে পুরো চাল কালো বাজারে বিক্রয় করে তা আত্মসাত করে। চাল আত্মসাতের খবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের টকন নড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান সরোজমিনে দুই ইউনিয়নে তদন্ত গিয়ে সাধারণ মানুষেরর সাথে কথা বলেন এবং ১০ টাকা কেজির চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিক্রয় না করে পুরো চাল তারা গায়েব করে আত্মসাত করার ঘটনা প্রমানিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে রিফায়েতপুর ও মথুরাপুর ইউনিয়নের ডিলার তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানার ডিলারশীফ বাতল করা হয়। এ বিষয়ে দৌলতপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী জানান, হতদরিদ্রদের চাল তাদের মাঝে বিক্রয় করা না হওয়ায় এবং দরিদ্রদের পরিবর্তে ধনীদের নামে ‘ফেয়ার প্রাইস’ কার্ড সরবরাহ হওয়ায় রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ডিলার তরিকুল ইসলাম ও মথুরাপুর ইউনিয়নের ডিলার মাসুদ রানার ডিলারশীফ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নে পুনরায় ‘ফেয়ার প্রাইস’ কার্ড নতুন করে যাচাই বাছাই করা হবে।
আর এ যাচাই বাছাইয়ের জন্য দৌলতপুর যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান জানান, ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ হওয়ায় নতুন করে দৌলতপুর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ‘ফেয়ার প্রাইস’ কার্ডের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই শেষে অক্টোবর মাসের চাল হতদরিদ্রমের মাঝে সরবরাহ করা হবে।

LEAVE A REPLY