দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা ডাক্তারের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা

0
278

রনি অাহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহালদশা ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় লোকজনের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, মা ও শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে।
জানাগেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ডাক্তার বরাদ্দ রয়েছে ১৫জন, তার মধ্যে মাত্র ৭ জন দিন রাত ভাগাভাগী করে কাজ করছেন, বাঁকী ৮ জনের মধ্যে ৩ জন ট্রেনিং করছে, ৪ জন ডিপুটিশনে। এ্যম্বুলেন্স একটি অচল অপরটির দীর্ঘ্যদিন যাবৎ ড্রাইভার না থাকায় গাড়ীটি নষ্ট হতে চলেছে। নেই হেড ক্লাক, নেই পরিসংখ্যান বিদ, নির্ধারিত বাবুর্চির অভাবে রোগীদের খাবার সংকট, ওয়ার্ড বয় নাই, মালীর অভাবে কমপ্লেক্স চত্বরটি অপরিছন্ন। সার্ভিস নিরাপত্তা না থাকায় ভাল ডাক্তার এখানে থাকা নিরাপদ মনে না করায় কৌশলে উপরওয়ালাদের ম্যানেজ করে, ডিপুটিশন নিয়ে শহর মূখী হয়ে পড়ছে। এ কারণে প্রতি নিয়ত সেবার মান নষ্ট হতে চলেছে, মার্তৃ স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে, লোকবলের অভাবে মার্তৃ স্বাস্থ্য ভাইচার স্কীম ও ই,ও,সি এর আওতায় বিনা মূল্যে মার্তৃ সেবা এবং নিরাপদ প্রসব কালিন সেবা, প্রসবোত্তর সেবা মূখ থুবড়ে পড়েছে। সেবার অভাবে প্রতিনিয়ত গ্রামের গরীব মা ও শিশুরা মৃত্যু বরণ করছে। এক্সরে ও ইসিজি মেসিন থাকলেও রেডিও ও কার্র্ডিও লজিষ্টের অভাবে মেসিন গুলি নষ্ট হতে চলেছে, যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা, এখানে ডাক্তার থাকা সত্বেও জানাগেছে রেডিও লজিষ্ট ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া ও কার্ডিও লজিষ্ট আলি আকবর কৌশলে ডিপুটিশন নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মসিউল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির দূরাবস্থার কথা স্বীকার করে জানান তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ০৩.০১.২০১৬ তারিখ থেকে কর্মরত আছেন, উপজেলাটির আয়োতন অনেক বড় প্রতিদিন প্রায় তিন শত রোগী এখানে সেবার জন্য আসে, মঞ্জুরীকৃত চিকিৎসকের পদ ৩৫জন, উপজেলা কমপ্লেক্সে ২১ জন ও ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জন, বর্তমানে পোষ্টিং আছে ১৬ জন। এর মধ্যে ২ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও একজন মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন। আরো ২ জন মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে আছেন, ৩৪তম বিসিএস এর ৩ জন চিকিৎসক এ্যানসথেসিয়ার ট্রেনিং এ আছেন। গাইনি না থাকায় গত মে মাস থেকে কমপ্লিহেনসিভ ইওসি এবং ডিএসএফ সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ আছে, এ্যম্বুলেন্স সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে, চিকিৎসক ও কর্মচারী স্বল্পতার কারণে আগত রোগীদের সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা, এ ব্যাপারে এমপি বরাবরে গত ০৫.১০.১৬ তারিখ স্বারক নং উ/স্বা/কম/দৌ/কুষ/২০১৬/১৫০৯তে অবগত করেছেন। জানাগেছে গত ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউল হকের স্ত্রী আঞ্জুমানয়ারা উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মারাযায়,এভাবে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা না পেয়ে গ্রামের অভাবী গরীব মানুষ নিরাস হয়ে ফিরে যাচ্ছে, শিশুরা আকালে ঝরে যাচ্ছে। বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল।

LEAVE A REPLY