আব্দুল্লাহ বিন জোহানী (তুহিন) : কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গাকে বলা হয় শিল্পনগরি। এই শিল্পনগরির সব থেকে পুরাতন বিদ্যাপীঠ আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠ পুরাতন হলেও দির্ঘদিন ছিল অবহেলিত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে ৭৫,কুষ্টিয়া-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী। রেজাইল হক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হয়ে আসেন এই স্কুলের সাবেক ছাত্র আসাদুজ্জামান চৌধুরী লোটন। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েই স্কুল ও শিক্ষার মানউন্নয়ন কাজে মননিবেশ করেন। এমপি সাহেবের সহযোগীতায় একে একে তৈরি করেন স্কুলের নতুন ভবন, পুরাতন ভবন সংস্কার করে ক্লাস নিয়ার উপযোগি করে তুলেন। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকা বাসির সুবিদ্ধার্থে নান্দনিক শহীদমিনার, উন্মুক্ত মঞ্চ, শিল্পপতি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের অর্থায়নে অত্যাধুনিক নুরুজ্জামান বিশ্বাস অডিটোরিয়াম তৈরি করে দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সুবিদ্ধার্থে প্রায় তিনশত ফিট পাকা রাস্তা, চমৎকার ফ্লাগ স্ট্যান্ড, ফুলের বাগান তার আমলে তৈরি হয়েছে। স্কুল ফিল্ড বছরে প্রায় ৯ মাস পানির নিচে থাকতো। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার অসুবিধা হতো। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে এমপি রেজাউল হকের সহযোগীতায় বালি ও মাটি ভরাট করে খেলার উপযোগি করে তুলেছেন। স্কুলে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল ছিল না, তাই তিনি নিজ উদ্দ্যগে জেলা পরিষদের মাধ্যমে দোকান সহ ওয়াল করে দিচ্ছেন। লোটন চৌধুরী সভাপতি হওয়ার পরে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের একশত ভাগ উপস্থিত নিশ্চিত ও স্কুলড্রেস পরা বাধ্যতামূলক করেছেন। বছরের শুরুতে স্কুলড্রেস পরে বই নেয়ার রেওয়াজ চালু করেছেন। অসচ্ছল ও গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনাবেতনে অধ্যায়ন ও নিজ খরচে নতুন স্কুলড্রেস তৈরি করে দেন এই নবনির্বাচিত কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ সদস্য। লোটন চৌধুরী ছাত্র-ছাত্রীদের মাদক থেকে দূরে রাখা ও স্কুলের শিক্ষার মানউন্নয়নের জন্য নিয়মিত অভিবাবক সম্মেলন করে থাকেন। আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। আসাদুজ্জামান চৌধুরী লোটন গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকা বাসিদের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন অবহেলিত আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লোটন চৌধুরীর মতো সভাপতি সব সময় দরকার। তার উন্নয়নের কথা সব সময় মনে রাখবে আল্লারদর্গা বাসি।