জামিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০১৭-এ পর্বে এম, এস, জোহা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক কলেজ পর্যায়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষ প্রশাসক ও উদ্ভাবনী চেতনায় সমৃদ্ধ অধ্যক্ষ ওমর ফারুক ইতোমধ্যেই জাতীয় দৈনিক প্রথমআলো, দৈনিক মাথাভাঙ্গা, দৈনিক আজকের আলোসহ বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকায় তার শিক্ষা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রসংগিক ভাবনা, ইংরেজি শেখার উন্মুক্ত রহস্য, ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা মুক্তি কি সুদূর পরাহত, এবং শিক্ষা মন্ত্রী কে খোলা চিঠি। পাঠ্যপুস্তক হিসেবে তার রচনা ঞযব গড়ংঃ ঠরঃধষ এৎধসসধঃরপধষ ঊষবসবহঃং, ঊভভবপঃরাব ঞধপঃরপং ড়ভ ঋৎবব ঐধহফ ডৎরঃরহম. নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতি অত্যন্ত দরদী অধ্যক্ষ ওমর ফারুক ইতোমধ্যেই প্রশাসন ঢেলে সাজিয়েছেন। শক্তিশালী একাডেমিক কাউন্সিল, শংখলা কমিটি ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে সারা বছরের শিক্ষা কার্যক্রম ও সহপাঠ কার্যক্রম নিষ্ঠার সাথে পরিচালিত হয়। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে, অত্যন্ত ফলপ্রসু শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছেন। যেমন কলেজের ৫০ জন শিক্ষক কে ৫ টি দলে বিভক্ত করে কলেজের ২০০০ হাজার শিক্ষার্থীদেরকে- ৫০ জন শিক্ষকের অধীনে ন্যাস্ত করেছেন। প্রত্যক শিক্ষক তার দলভুক্ত ৪০ জন শিক্ষার্থীদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সহ প্রয়োজনীয় তথ্য নিজস্ব ফাইলে সংরক্ষন করেন। কোন শিক্ষার্থীদের কলেজে অনুপস্থিত থাকলে, ক্লাস পরীক্ষা কিংবা মাসিক টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশ না নিলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কলেজ কর্তৃক করবরাহকৃত মোবাইল ফোনে অভিভাকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের কলেজে উপস্থিতি ও সকল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন নিশ্চিত করে থাকেন। ১০ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে ৫টি শৃংখলা কমিটি, সপ্তাহে ৫ দিন কলেজের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক শিক্ষক তার দলভূক্ত শিক্ষার্থীদের সহপাঠ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করেন। প্রতি মাসের শেষ বৃহস্পতিবার পাঁচটি দলের মধ্যে বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা পাঠ, অভিনয় সহ নানাবিধি সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন। প্রত্যেক শিক্ষক মাসে এক দিন তার দলভুক্ত শিক্ষার্থীদের ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সহ মাসিক সভার আয়োজন করেন। উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দেশ প্রেম, নৈতিক চরিত্র গঠন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী কাউন্সিলিং করে থাকেন। অধ্যক্ষ ওমর ফারুক এম, এস জোহা কলেজের বিশাল চত্বরে দেবদারু, মেহগনি, কাঠাল, লিচু ও আম গাছ সহ সহ¯্রাধীক ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করেছেন। অধ্যক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেনÑ সারা দেশের শিক্ষার মান ও শিক্ষার ব্যবস্থাপনায় ব্যপক ধস নেমেছে। এর উত্তোরনের উপায় হিসেবে তিনি বলেনÑ আমার কলেজের অনুসৃত শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা জাতিকে এই দূর্যোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাকে দ্বিতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচন করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আজাদ জাহান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব দীনেশ চন্দ্র পালকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।