রনি আকন্দ কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই স্কুল ছাত্র হত্যার একদিন পর রহস্য খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। শুভ হত্যার তথ্য উৎঘাটনের জন্য শনিবার বিকালে কালাই পৌরসভা মুন্সিপাড়ার মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে-আব্দুল্লাহ রানা (২২), মোঃ সোলায়মানের ছেলে- ওমর ফারুক (৩৪), মৃত-আঃ সাত্তারের ছেলে-এমদাদুল হক (৪৮), মোঃ আঃ রশিদের ছেলে- সামছুল (৪০) কে হত্যার রহস্য জানার জন্য তাদের থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা বাড়ীতে চলে যায়। তাদের দেয়া তথ্যের উপর সন্দেহমূলক কালাই মুন্সিপাড়া মোঃ আঃ সাত্তারের ছেলে- রেজাউলকে আটক করেন। রেজাউল ছিল একজন অটো ভ্যান চালক। তার স্বপ্ন ছিল টাকাওয়ালা(ধনি) হওয়ার তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ রা মার্চ শুক্রবারে স্কুল পড়–য়া দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তাওহীদ শামীম শুভকে অপহরণ করে। জয়পুরহাট চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইকবাল বাহার এর আদালতে রেজাউলকে হাজির করা হলে শিশু শুভ অপহরণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেন। জবানবন্দিতে বলে ৩ রা মার্চ রোজ-শুক্রবার ১০.৩০ মি. শিশুটি ল্যাটিম খেলার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়ে তার বাড়ির পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার পথে সু-কৌশলে শুভকে ঘরে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে তার বাবা আঃ গফুর (তোতা) এর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিপন দাবী করে। টাকা না পেয়ে তৎক্ষণাত রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটির গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর বড় একটি গামলায় রাখে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টিভি’র বাক্সে প্যাকেট করে রাখে। পাড়ায় পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন এর পাহাড়া থাকায় লাশ গুমে ব্যর্থ হওয়ায় তার বাড়ীর সামনে খড়ের পালার ধারে ফেলে রাখে। এলাকাবাসীর তথ্য অনুসারে জানা যায়, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে হত্যাকারী রেজাউল সার্বক্ষণিক শুভ’র বাবার পার্শ্বে থেকে শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে। লাশের গোসল, কবর খনন, বাঁশ কাটা, দাফনের কাপড় পরানোর সহযোগিতা এবং যানাজা অংশগ্রহন করে। শুভ’র বাবা-মা হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। কালাই থানা অফিসার ইনচার্জ নূরুজ্জামান চৌধুরী সোমবার দিবাগত রাত্রে গণমাধ্যমকে (সাংবাদিক) তথ্যটি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, কালাই পৌসভার মুন্সিপাড়ার আঃ গফুর (তোতা) এর ছেলে তাওহীদ শামীম শুভ গত শুক্রবার বাসা থেকে ১০.৩০ মি. খেলার উদেশ্য নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পর শুভ আর বাসা ফিরে যায়নি। তাকে অনেক খুঁজা-খুঁজি করে না পাওয়ায় ঐ দিন শুভ’র বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন শনিবার সকালে শুভ’র লাশ সাঈদ ফকিরের খড়ের পালার নিকট থেকে উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন কালাই থানা পুলিশ।