রনি অাহমেদ: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজলুর রহমান (৩৬) নামে ম্যাচ ফ্যক্টরীর এক শ্রমিক সর্দারকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্য হয়।এঘটনায় জিয়া (৩৫),মনিরুল (৩৬) ও সোহেল রানা (২০) নামে তিন জন কে অাটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লাহরদর্গা চামনাই গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে বায়জীদ ম্যাচ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক সর্দার বজলুর রহমান রবিবার বিকেলে থেকে নিখোঁজ হয়। সোমবার সকালে চামনাই গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি তামাক ক্ষেতের ভিতর বজলুকে হাত-পা বাঁধা মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পেয়ে মাঠের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। সেখাকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বজলুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করলে সকাল ১০টার দিকে সে মারা যায়।
নিহত বজলুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। দূবৃর্ত্তরা তাকে অপহরনের পর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে ও মুখে বিষ দিয়ে মৃতভেবে তামাক ক্ষেতের ভিতর ফেলে রাখে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি আহমেদ কবীর হোসেন জানান, ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের সাথে বজলুর বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে অথবা বজলুর মেয়ের সাথে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, সে সম্পর্কের কারনে বজলুর ওই ছেলে কে গালমন্দ করে। এরজের ধরেও তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।এবং প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদের জন্য তিন জনকে অাটক করা হয়েছে।এবং বিষয়টি তদন্ততাধীন রয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন হলে পরে জানানো হবে।