মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধি : অক্টোবর আসলেই মৌসুমি ইট প্রস্তিতে ব্যস্ত সময় পার করে ইট প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারি বৃন্দ।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।যথাসময়েই প্রতিযোগিতামুলক ইট প্রস্তুত শুরু করেছে ইট ভাটা মালিকেরা।কিন্তু এবার ইট উৎপাদনে বড় ধরনের বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে বৃষ্টি।সময়ে অসময়ে যখন-তখন নেমে পড়ছে বৃষ্টি।কখনও হালকা কখনও ভারি আবার কখনও বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।বৃষ্টি যেমনই হোক কাঁচা ইটের জন্য ব্যাপক ক্ষতি।
গত শনিবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।এতে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণাচলে ইটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়,এবার কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে ১১ টি ভাটায় চলছে ইট প্রস্তুির কাজ।প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫ হাজার কাঁচা ইট তৈরি করা হয় আর এই ইট পাকাকরন পর্যন্ত পৌছাতে সময় লাগে ১০-১২ দিন।এর পর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে পাকাকরন ও বিক্রয়ের মাধ্যমে ভাটা মালিকেরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছায়।কিন্তু গত শনি ও রবিবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ১১ টা ইটের ভাটায় প্রায় ৫৫ লক্ষ কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে যার উৎপাদন ব্যয় প্রতি হাজারে ২ হাজার অর্থাৎ মোট উৎপাদন ব্যয় ১কোটি ১০ লক্ষ
টাকা প্রায়।জানা যায় বর্তমানে সেরা মানের ইট বিক্রয় হচ্ছে প্রতি হাজার ৭ হাজার থেকে ৭হাজার ৫ শত টাকা।যদি এই ক্ষতিগ্রস্ত ইট পাকাকরনের মাধ্যমে বাজার জাত করা হত তাহলে প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা বিক্রয় হত।
রবিবার বৈরি আবহওয়া উপেক্ষা করে উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সৈনিক ব্রিকস্,মহুয়া ব্রিকস্,টি,জে বি ব্রিকস, এ কে বি ব্রিকস ঘুরে যদুবয়রা বাজার সংলগ্ন তাজ ব্রিকস্ এর ম্যানেজার কাজল বাবু’র সাথে কথা বলে জানা যায়,বৃষ্টির কারনে এবার ইট ভাটা মালিক,কর্মচারি,শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্টদের বেহাল দশা।তিনি বলেন দুইদিনের বৃষ্টিতে মেসার্স তাজ ব্রিকসে্র প্রায় ৩ লক্ষ কাঁচা ইটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যার উৎপাদন ব্যয় প্রতি হাজারে ২ হাজার এবং সর্বোমোট ৬ লক্ষ টাকা।তিনি বলেন যার বর্তমান বাজার মুল্য ২১ লক্ষ টাকা।
এবিষয়ে কুমারখালী দক্ষিন অঞ্চলের ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স তাজ ব্রিকসে্র স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব জাহিদ হোসেন জাফর বলেন,দুইদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ইটের মাইল ফলক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।আমার অঞ্চলের ১১ টা ভাটায় প্রায় ৫৫ লক্ষ ইটের ক্ষতি হয়েছে।তিনি বলেন এই ক্ষতি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মুলক কার্যক্রমে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে।তিনি আরো বলেন এবার বৈরি আবহওয়ায় বার বার উৎপাদিত কাঁচা ইটের ক্ষতি হয়েছে।এবার নির্মান কাজে ইট সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে।যা মুল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারন জনগনের ক্রয় সীমা লংঘন করতে পারে।