কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা বলে স্লোগানে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অচিরেই বাজারে আসছে দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল
পত্রিকা।
যদিওবা পত্রিকার শহর কুষ্টিয়া।
সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথের হাত ধরেই এ সূত্রপাত। ব্রিটিশ শাসকদের অন্যায় অত্যাচার আর নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেছিল কাঙ্গাল সম্পাদিত ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক পত্রিকাটি। সে সময় পত্রিকা প্রকাশ ছিল অনেকটা কঠিন কাজ। আজকের আধুনিক যুগে পত্রিকা প্রকাশ যেন হাতের মোয়া। কুষ্টিয়া শহরে এ কাজটি যেন আরও সহজ। অনেকটা টিউবয়েল থেকে পানি চেপে পান করা। অসংখ্য মনীষীর জন্ম দিয়েছে এই কুষ্টিয়ার মাটি। সেকারণ কুষ্টিয়ার উপাধি সাংস্কৃতিক রাজধানী। মহান স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয়েছিল এ কুষ্টিয়া থেকে। মুক্ত চিন্তা ও প্রগতিশীল মানুষের সংখ্যাও এই শহরে বেশি। গ্রাম বার্তা প্রকাশিকার পর এ শহরে অনেক পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। প্রতিদিন এ শহর থেকে ১৫টিরও বেশি দৈনিক পত্রিকা ছাপা হয়। সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যাও রয়েছে বেশকিছু। তবে অনেক পত্রিকার মান নিয়ে পাঠকদের মাঝে হাজারো প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্ন কিছুটা উপশম করতে বাংলাদেশের আলোচিত লেখক, সাংবাদিক ও আইনজীবী এ্যাড. সিরাজ প্রামাণিক এর প্রকাশনায় ও কুষ্টিয়ার তরুণ উদীয়মান, পরিচ্ছন্ন, পরিশ্রমী সাংবাদিক এস.এম. জামাল খান এর সম্পাদনায় অচিরেই আসছে ‘দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল’।
কুষ্টিয়া শহর আয়তনের দিক দিয়ে খুব বেশি বড় নয়। পত্রিকার রসদ অর্থের অভাব রয়েছে। বিজ্ঞাপনের সংখ্যাও তাই বেশি নয়। বেশি পত্রিকা হওয়ায় বিজ্ঞাপন দিতেও ভয় পায় অনেক প্রতিষ্ঠান। তবে এত সংকট থাকা সত্বেও পত্রিকা জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সবাই নতুন কিছু সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়ে বাজারে আসছে। আসার পর সেই ধ্যান ধারনা পাল্টে যায়। পত্রিকা হয়ে যায় হাতিয়ার। পাঠকদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ এত পত্রিকার মাঝেও আরও একটি পত্রিকা। পত্রিকাটি এখনো আতুর ঘরেই আছে। তাই ভুল ত্রুটি হতেই পারে। পাঠকরা যেখানে পত্রিকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সেখানে একটি পত্রিকা টিকে থাকারও প্রশ্ন রয়েছে।
গতানুগতিক খবরে কুষ্টিয়ার পত্রিকা গুলো আবদ্ধ রয়েছে। কোন সু-খবর নেই পত্রিকার পাতায়। আছে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি মন খারাপ হওয়ার মত শত সংবাদ। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও এ জেলার সাংবাদিকরা পিছিয়ে রয়েছে। সেদিকে না গিয়ে; তাই আমরা একটি ইতিবাচক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। আসলে আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। আগেই আওয়াজ তুলে পরে নিভে যাবার পাত্র আমরা নয়। কালোকে কালো ও সাদাকে সাদা বলার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছে। সেই অভ্যাস দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল চালু রাখতে চায়। প্রতিদিন মানুষের হাতে তুলে দিতে চায় ইতিবাচক খবরা-খবর। পাঠকরা আমাদের শক্তি। কোন রাজনৈতিক ও পেশী শক্তির নিকট আমাদের দায়বদ্ধতা থাকবে না। দায়বদ্ধতা থাকবে শুধু পাঠকদের নিকট। বেশ লম্বা হয়ে গেল লেখাটি। তারপরও লিখতে হচ্ছে। পত্রিকা নিয়ে কুষ্টিয়ার পাঠকদের নানা নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে। এ ধারণা তৈরির জন্য দায়ী আমরা ও আমাদের পথপ্রদর্শকরা। যাদের কাছ থেকে আমরা ভাল কিছু আসা করেছিলাম, তারাই আমাদের পথভ্রষ্ট করছে বারবার। তাই আমরা মিথ্যা ঢাকতে সত্য লুকাতে চায় না। সত্য সত্যেই। যাকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যাবে না। দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল কোন সত্যকে লুকাতে চায় না। কোন দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না। তুলে আনতে চায় নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের মুখ। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে
এ্যাড. সিরাজ প্রামাণিক
সাংবাদিক ও আইনজীবী