কুষ্টিয়াঃ ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি, এই শ্লোগানের মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়ায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে দিবসটি পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো, জহির রায়হান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট মো: মিজানুর রহমান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণের পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ ড. হায়াৎ মাহমুদ, বিসিকের ডিজিএম কে এম দৌলতুজ্জামান, সাফের নির্বাহী পরিচালক মীল আব্দুর রাজ্জাক, “এ্যাস ফ্রি খাজানগর” এএফকে আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী আসাদুল্লাহ আহমেদ (টুলু ফকির) প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ও দরিদ্র্য মানুষের কল্যাণে সামাজিক বনায়নকে উৎসাহিত করতে হবে। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় তা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। নিজেদের ও আগামী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে দূষণমুক্ত পরিবেশ একান্ত প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে এদেশ আমাদের, তাই আমাদের সকলেরই দায়িত্ব পরিবেশ রক্ষা করার। দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশ উন্নত জীবনের পূর্ব শর্ত। দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার ‘চাতালগুলির যত্রতত্র অবস্থান কালো ধোঁয়ায় চরমভাবে পরিবেশ ও মানবাধীকার লঙ্ঘন হচ্ছে। ‘নির্গত কালো ধোঁয়ার প্রভাবে ক্ষেতের ফসল উৎপাদন কমে গেছে। পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জনবসতি এলাকা হওয়ায় নির্গত ধোঁয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’
এসব রোধে “চিমনি দিয়ে উড়ে যাওয়া ছাই বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করে ব্যবহার উপযোগী উপাদানে পরিনত করা যায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। তাতে ছাইও থাকবে না আবার ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসার কোন ক্ষতি হবে না। তাই সকল মিলের নতুন প্রযুক্তি ব্যবসহার করে ছাই উড়ানো বন্ধ করতে নানা পদক্ষেপ কার্যকরে উদৌগী নিতে হবে।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।