নিজস্ব প্রতিবেদক: কমিউনিটি লাইব্রেরী’র উদ্যোগে মাসিক সাহিত্য আড্ডা ‘গপ্পে-গপ্পে জমলো আসর’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেখক,’শ্রী রামপদ সরকার’ এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,’প্রসাদ বিশ্বাস’ ম্যানেজার সোনালি ব্যাংক কুমারখালী শাখা, কুষ্টিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন জনাবা,’নিবেদিতা সরকার’, সহকারী শিক্ষিকা পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোকসা কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে, কাঠমিস্ত্রী জসিম উদ্দীনের নিজ হাতে গড়া ‘কমিউনিটি লাইব্রেরী’। আজ শুক্রুবার সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই সাহিত্য আসর। আজকের আসরে পাঠ হয়েছে বড়দের জন্য প্রথম আলো থেকে প্রকাশিত, “একাত্তরের চিঠি”। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে চিঠি চালা-চালি হয়েছিল। জসিম উদ্দীন জানান, এই চিঠিগুলো যদি পাঠক-পাঠিকারা পাঠ করে ; নিশ্চয় তাদের মধ্যে দেশপ্রেম তথা স্বদেশ বৃদ্ধি পাবে এবং মুক্তিযুদ্ধের তথা ইতিহাতের অনেক কিছু শিখতে-বুঝতে পারবে।
বড়দের জন্য কবিতা পাঠ হয়েছে, কবি ফাতেমা হক মুক্তার লিখা,”নদীর নাম বালু” বইয়ের কবিতা।শিশু-কিশোদের জন্য, কবি সাব্বির নিশ্বাসের লিখা ছোট গল্প “যদি কোনো পাওনা থাকে” বইয়ের গল্প পাঠ হয়েছে। শিশু সাহিত্যিক মনিরুল ইসলাম মনির লিখা , “ভূতের ক্রিকেট” বইয়ের ছোট গল্প পাঠ হয়েছে। মাহবুব উল আমল চৌধুরীর লিখা, “ছড়ায় ছড়ায়” বইয়ের ছড়া পাঠ হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এই সাহিত্য আসরে উপস্থিত ছিলেন, তাদের বয়স ৯ বছর হতে ৯০ বছর পর্যন্ত। আজকের আসরে ৫৪ জন পাঠক-পাঠিকা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে একটি করে কলম উপহার দিয়েছেন কমিউনিটি লাইব্রেরীর কর্ণধার জনাব জসিম উদ্দীন।
জসিম উদ্দীন বলেন, বই পড়ার পাশা-পাশি তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমি যদি লাইব্রেরীর পাঠকদেরকে প্রযুক্তির কিছু শিক্ষা দিতে পারতাম; তাহলে আমার এই জনপদের মানুষ জ্ঞানের এক উচ্চ শেখড়ে পৌঁছতে পারতো। এ-জন্য একটি কম্পিউটারের বিশেষ প্রয়োজন, কিন্তু এ-স্বপ্ন না সোনার হরিণ! আমার মতো কাঠমিস্ত্রী পক্ষে তো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।