রাশেদ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি : “ যদি আলোচিত হতে চাও, সমালোচনা কে ভয় করো না-
মনে রেখো সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা।”
-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আজ স্বাধীন বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানা প্রকার সমালোচনা করেন, ষড়যন্ত্র করেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কিছুই উনার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারে নি।
বার বার ধাক্কা খেয়ে খেয়ে রাজনীতি শিখেছেন এই মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা। আর এভাবেই তিনি বর্তমানে এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন যেখানে তিনি একজন প্রকৃত অভিভাবকের প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে তাঁকে শুধু আওয়ামী লীগ নেতা বা কোন একটি বিশেষ দলের প্রধান বলে মনে করা উচিত না। তিনি বাঙালি জাতির নেতা। তিনি বর্তমানে স্বাধীন বাংলার যোগ্য অভিভাবক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের অভিভাবক ছিলেন ঠিক তেমনি বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাঙালি জাতির জন্য নিজেকে একই ভাবে তৈরি করেছেন। জাতির অভিভাবকের স্থানে নিজেকে প্রতিস্থাপন করেছেন।
এ দেশে এখন পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর পদে রয়েছেন। তবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার এই অঙ্গনটি শেখ হাসিনার জন্য কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বারবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। ১৯ বার তিনি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বর্বরোচিত হামলাটি হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে।
তিনি বর্তমানে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত বলে মনে করেন দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
শেখ হাসিনা বলেছেন যে,-
“ আমি আছি তাই বাংলাদেশ নিরাপদে আছে। আমার চোখ বন্ধ হলে কী হবে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন ”
সত্যিই তাই যে আজ গোটা জাতিই এটা উপলব্ধি করছে যে শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।
আজ আমাদের এই মমতাময়ী নেত্রীর ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের যোগ্য অভিভাবক হিসাবে আজীবন তিনিই থাকুন আমাদের মাঝে এমন প্রত্যাশায় আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
শুভ জন্মদিন মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা।