কবিতাঃ স্রোতস্বিনী
রচনাঃ ফারহানা হৃদয়িনী
সোনালী ঢেউয়ের অপেক্ষায়
বহু ঘাটেই থেকে যায় কিছু প্রতিক্ষিত মুখ,
বেগ থাকে সেথায় নদীতে কখনো থাকে আবেগ,
কখনো জলহীন শুস্ক বালুচরে
দেখা মেলে হালকা পানির রেখা।
নদী তবু বয়ে যায় সাগরে সঙ্গমের স্বাদ নিতে,
হয়তো কল্লোলিনীর হাসিতে
অথবা ক্ষীণ জলধারার বেশে।
তার কেশে নেচে ওঠে কত পাপ-পূণ্য,কত রঙের পণ্য,
সে যে কত শত পঙ্কিলতা জঠরে লুকিয়ে হয় ধন্য।
এই রুপে মেদিনী খুঁজে নেয় আপন গতি,
কারো হয় উপকার কারো বা ক্ষতি।
চলেনা সে সোজা পথে চলে এঁকে বেঁকে,
মন জুড়িয়ে যায় তার অপরুপ শোভা দেখে।
কৃষ্ণেরা বসে বাঁশি বাজায় সেথা তরঙ্গিনীর পাড়ে,
রাখাল জিরোয় সেথায় তার স্নিগ্ধ পল্লবের ছায়ে।
মাঝির নায়ে ভেসে চলে কত রঙের স্বপ্নরে,
কত প্রাণই ডুবে যায় জলের গভীর আদরে।
কত জেলে মেতে ওঠে মাছ ধরার নেশায়,
কত ঘর বাড়ি সে বিধ্বংসী রুপিনী ভাসায়।
যে সময় সময় দিয়ে যায় কত খুশীরও আবেশ,
অনুদান কখনো তার হয়নাকো নিঃশেষ।
আবার সেই স্রোতে বয়ে যায় জীবনের সব অর্জন,
তবু স্রোতস্বিনীর রুপোলী প্রেমের হয় না তো বিসর্জন।