কবিতা “কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নঘোর”

0
21

কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নঘোর
শেখ নজরুল ইসলাম খোকা

আমার_জমিনে_বানিয়েছি_একটি_বাড়ি_আ

মার_জন্য_কেনো_হবে_দুটি ঘর ??

যেখানে দুটি পথের মিলন
সেখানে দেখি প্রজাপীড়ন
সকালের রৌদ্রে শিশিরধৌত পথ
শিশুদের হয় পায়ের গোসল।

অসহায় যুবতি পথ চলছে
অসৎ যুবকবীর ফড়িং নাচে
উড়ে আসে তাদের বকবকে আরো সহচর
ঘাসের শিশিরজল সিগারেটে মেখে নেশায় উন্মাদ।

যুবতি ভয়ডর ভেঙে,গেরুয়া সকালে পথচলে
মুখরে শিশুরূপ,প্রণয়াকাঙ্ক্ষা করুণ স্বরে,
ডাকেন আল্লাহ্‌ কে
ফড়িং নাচে উড়ে আসা সবাই হলো সদ্যউদিত! !

নবযুবক কি – মৌমাছিজাত
ফুলপরীদের সাথে করেন আড়ি ?
সন্ধ্যা হলে জ্বলে শহিদ মিনারে হাজারো ফোনে জোনাকি।

গোসল করেন আতর গোলাপ জলে
অথচো বৃদ্ধ,মা,বাবার,নেই ঘড়ে ঔষধ!!
অগ্নিশিখায় তিলেতিলে বৃদ্ধাদের হয় মরণ।
এটাই কি আমার,আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নঘোর ??

আমার জমিনে বানিয়েছি একটি বাড়ি
আমার জন্য কেনো হবে দুটি ঘর ?

সবাই আকাশ পথে বাঁধেন ঘর
উচিতকর্ম এমনিতর,স্বপ্নের ইচ্ছেগুলো বাতাসে ভাসান।

আমরা যেখানে স্বাধীনতা পেয়েছি
তুলোভরা তাকিয়া খুলেছি কেনো বাতাসে ?
ইচ্ছেগুলো আজও চোখে ভাসে,বেলা শেষ অবেলায়।

আজ আমার বাবা,মায়ের,আত্মা,আকাশ পথের সহচর
নেই তৃষ্ণা,তৃপ্তিকর কোন অনুভূতি
তাই সর্বক্ষণ আকাশপথ দেখি!
পাই যদি তাদের দেখা।

আমার জন্য কেনো হবে দুটি ঘর ?
মায়াবতীর আঁচলে মুখ লুকিয়ে রেখেছিলাম গভীর অনুরাগে
আমার মহাজগতে অমাবস্যার রাতভোর ফিরে আসে!

এই প্রাণ চন্দ্রের সাথে কথা বলে সূর্যোদয় হবে জানেননি
যৌবনরসের জোয়ারভাটায়,নিজেকে নদীতলে ডুবাইল।

গভীর অরণ্যে যদি বানাই নীড়
সেখানে থাকিবেনা মানুষের ভিড়।
আমার শততম সাধনার হবে বৃক্ষতল
আজীবন ধ্যান করিব,কবরের আজাব মাফ করিব।

শেষ অংশ

LEAVE A REPLY