ছাত্রজনতার রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি একটি নির্বাচনি ‘রোডম্যাপ’ প্রয়োজন। তাহলেই দেশের জনগণ বুঝতে পারবে দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় যাচ্ছে। তাহলেই জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পুড়িয়ে দেওয়া কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাউদ্দিন আহমেদ এসব বলেন।
আয়না ঘর থেকে ভারতে নির্বাসিত থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে উপহার দিতে হবে।’ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রের সুফল দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যেন সবাই মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অব্যাহত কাজে সহযোগিতা করতে হবে। পরিকল্পনা করে তাদের সময় দিয়ে দেশকে সোজা করতে হবে।
এছাড়া, যারা আয়না ঘর বানিয়ে গুম, খুন নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের এদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। স্বৈরাচারের হাতে নির্মমভাবে গুমের স্বীকার হওয়া এই নেতা ছাত্র-আন্দোলনে নিহতদের কথা স্মরণ করেন।
তাকে গুমের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিঁনি বলেন, সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরিস্থিতি বুঝে সবকিছু মোকাবেলা করা হবে।
আরও ছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্নাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা। (সংগৃহীত)