বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমওকে মারধর

0
112

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দুই চিকিৎসকের দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোরশেদ আলমকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই চিকিৎসকের কোয়ার্টারের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আরএমও মো. জিহাদ মোল্লা (২৫) নামের এক তরুণকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামালা দায়ের করেছেন। তবে মামলার এজাহারে ঘটনাস্থল জরুরি বিভাগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জিহাদের বাড়ি পৌরসভার সোতাসী গ্রামে। সে ওই হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক খালেদুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মচারী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারীতে রোগী দেখা নিয়ে খালেদুর রহমান ও মোরশেদ আলমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। খালেদুর রহমানের বাড়ি বোয়ালমারীতে। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাঁচ মাস আগে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে বদলি হন। তবে তিনি প্রতি শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে উপজেলার হাসপাতাল সড়কের আল-আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, খালেদুর রহমানের অনুপস্থিতে তাঁর এক পুরোনো রোগী মোরশেদ আলমকে দেখাতে গেলে তিনি (মোরশেদ) খালেদুরের চিকিৎসার দক্ষতা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে খালেদ ও মোরশেদের মধ্যে ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়। এর পরপরই খালেদের ব্যক্তিগত কর্মচারী জিহাদ আল-আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মোরশেদ আলমের কোয়ার্টারের চেম্বারে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন।
খালেদুর রহমান বলেন, মোরশেদের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়েছিল। তবে জিহাদ তাঁকে মারধর করেছে বলে তাঁর জানা নেই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল বলেন, ঘটনাটি লজ্জাজনক। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে রোগী দেখা নিয়ে রেষারেষি চলছিল।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, সরকারি কাজ শেষে কোনো চিকিৎসক কমপ্লেক্সের ভেতরে তাঁর বাসায় চেম্বারে রোগী দেখতে পারেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনা তিনি শুনেছেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বোয়ালমারী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, চিকিৎসককে মারধরের ঘটনার মামলার আসামি জিহাদ মোল্লাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

LEAVE A REPLY