দৌলতপুরে ১০ টাকা কেজির সব চাউল গায়েবঃ কার্ড তৈরিতে অনিয়ম

0
232

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ না করে পুরো চাল গায়েব করে দিয়েছে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ডিলাররা। এদিকে কার্ডের তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দরিদ্রদের পরিবর্তে কার্ড দেয়া হয়েছে ধনী ব্যক্তিদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , ‘ ফেয়ার প্রাইস ’ অর্থাৎ ১০ টাকা কেজি দরের চাউল দরিদ্রদের মাঝে সরবরাহ করার কথা থাকলেও উপজেলার রিফায়েতপুর ও মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিদ্রদের চাল খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করে তা কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে সরবরাহ না করে পুরো চালই বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া দরিদ্রদের তালিকা তৈরিতেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল গাফফার স্ত্রীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের নামে হতদরিদ্র কার্ড করেছেন। এছাড়াও একই ইউনিয়নের বড়গাংদিয়া গ্রামের ৩০ বিঘা সম্পতির মালিক শহিদুল ইসলামের স্ত্রীর নামেও এ কার্ড করা হয়েছে। আর এ চিত্র দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নের প্রায় সর্বত্রই। এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসের হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরের এ চাল কার্ডধারী দরিদ্রদের মাঝে সরবরাহ না করে রিফায়েতপুর ও মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা বিক্রয় করে তা আত্মসাত করেছেন। তবে রিফায়েতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন , সে চাল বিক্রয়ের সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নন। সেকেন্দার মেম্বারের ছেলে তরিকুল ইসলাম রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ডিলার। সে চাল বিক্রয়ের কাজটি করে থাকতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন বলেন, দরিদ্রদের কার্ডের তালিকা তৈরিতেও যেমন অনিয়ম আছে আবার তাদের মাঝে সরবরাহ না করে বিক্রয় করারও খবর আছে। এদিকে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় এসব অনিয়মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌফিকুর রহমান জানান , দরিদ্রদের চাল দরিদ্রদের মাঝে সরবরাহ না করে থাকলে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY