পাঁচবিবিতে ৩ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হত দরিদ্র ভ্যান চালক কাঙ্গাল

0
382

সাজেদুল ইসলাম টিটু,পাঁচবিবি(জয়পুরহাট)সংবাদদাতাঃজয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর এলাকার দানেজপুর আদিবাসী পল্লীর আব্দুল জলিল ওরফে কাঙ্গাল ৩ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। প্রতিবেদকের সাথে যখন কথা বলছিলেন তখন কাঙ্গালের পকেটে ছিল মাত্র ৫ টাকা। রাত পোহালে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়ন রত সন্তানের স্কুলে খেলা ধুলা বাবদ চাঁদা দিতে হবে ১০ টাকা। বড় মেয়েটা (জেএসসিতে জিপিএ-৫) ৯ম শ্রেণিতে পড়ছে তার সেশন ফি দিতে হবে ১২৮০ টাকা। মেঝ ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে ড্রেস বাবদ ৭০০টাকা। গাইড বই কিনতে টাকা লাগবে । রাতে রান্না করার মতো চাল ঘড়ে নাই। এই অবস্থায় সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ করার চিন্তা করছেন। আবার টেনেটুনে এসএসসি পর্যন্তু পড়ানো যায় কি-না সেটিও ভাবছেন। কাঙ্গাল ৩০ বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে আসছেন। আগের চেয়ে এখন আয় কমে গেছে কিন্তু ব্যয় বেড়েছে অনেক। চতুর্দিকে অটো ভ্যানের ছরাছরি। হত দরিদ্র কাঙ্গালের ভ্যানটি ভাঙ্গাচোরা বলে যাত্রীরা ওঠেনা। তীর্থের কাকের মতো যাত্রীর জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়। সারাদিন যে আয় হয় সেই টাকা দিয়ে কিছু চাল ও বাজার থেকে ফেলে দেয়া সব্জি নিয়ে বাড়ি ফিরেন অভুক্ত সন্তানদের জন্য। কাঙ্গাল বলেন,আমার সন্তানরা খুব ভালো। আমার অবস্থা দেখে তারা কিছু আবদার করেনা। ছেঁড়া ফাটা পোষাক সেলাই করে দিলেই চলে। কাঙ্গাল আক্ষেপ করে বলেন,পাঁচবিবির এক ঢণাঢ্য ব্যবসায়ী ঢাকায় থাকেন। তিনি অটোভ্যান কেনার জন্য এক কাউন্সিলরের মারফত আমাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কাউন্সিলর টাকা আত্মসাৎ করায় আমার অটোভ্যান হলোনা। কষ্ট করে ভাঙ্গাচোরা ভ্যানই চালাতে হচ্ছে।

LEAVE A REPLY