দৌলতপুর উপজেলায় গ্রাম পুলিশের প্রতারনার ফাঁদে এক নারী

0
2968

খোকন, দৌলতপুর: কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ১১নং আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মো: মহসিন আলী (৩৮) পিতা: মৃত: হামিদুল চৌকিদার, তার আরেকটি পেশা সে নাপিত, ধর্মদহ বাজারে তার একটি দোকান আছে। সময় অসময় সে এই দোকানে কাজ করে। তার নিজ গ্রাম ধর্মদহ পূর্বপাড়া, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পূর্বে দৌলতপুর থানার মাদাপুর গ্রামের নবীরশাহ’র মেয়েকে বিয়ে করে। বর্তমানে তার ২ ছেলে এক মেয়ে তার মধ্যে বড় মেয়ে, প্রায় বিবাহ যোগ্য। প্রায় ১মাস পূর্বে সে এলাকা ত্যাগ করে যশোরে অবস্থান করে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে দৌলতপুর উপজেলাধীন ১নং প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর এক নারী কে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করব বলে এক পর্যায়ে রাজি করায়। সেই নারী ২ বছর পূর্বে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। সরোলতার সুযোগ পেয়ে মহসিন চৌকিদার সেই ভুক্তভোগী নারীকে পরিবারকে জানায় আমি পুলিশের চাকুরী করি। আমার বাড়ী গাইবান্ধা এই মূহূর্তে আমার ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকার প্রয়োজন টাকাটা নিয়ে আমার বাসায় চলে এসো। মেয়ে ও তার মা ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। গত ২২/০৪/২০১৭ ইং তারিখে সেই মেয়ে স্ব-শরীরে হাজির হয় যশোরে মহসিনের বাসায়। ভুক্তভোগী বিয়ের কথা বললে আজকাল করে ৩দিন পার করে দিলেও বিয়ে করে নি। এদিকে মহসিনের শ্বশুর নবীর শাহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে, তার জামাতা অন্য এক মেয়ের সংঙ্গে সংসার শুরু করেছে। পরদিন মহসিনের শ্বশুর নবীর শাহ যশোরে গিয়ে দেখে তার জামাতা ও ভুক্তভোগী একটি ঘর ভাড়া করে বসবাস করছে। তার জামাইকে জিজ্ঞেস করলে এই মেয়েটি কে? সে বলে আমার বিবাহিত স্ত্রী। এবং ঐ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে বলে আমরা এখনো বিয়ে করিনি তবে বিয়ে করব। মেয়েটি তখন বুঝতে পারে তার স্ত্রী ও তিনটি সন্তান আছে তখন তার নিজ গ্রামে ফিরে আসে। ভুক্তভোগী নারী সাংবাদীককে বলেন সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকা নিয়েছে ও বিয়ে করব বলে আমাকে যশোরে আসতে বলে। সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি চাই। যেন আমার মত আর কোন মেয়ে প্রতারিত না হয়। এই ব্যাপারে মুঠোফোনে ১১নং আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মকবুল হোসেন কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ঘটনাটি সত্য বিগত দিনেও এ ধরনের প্রতারনার স্বীকার হয়েছে কয়েকজন। আমি ও আমার ইউনিয়নের সকলে আলচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনিত হই যে, উর্ধতম কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এ প্রসংঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তৌফিকুর রহমান কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন যে, এই ব্যাপারে আমার বরাবর কেহ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আমি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

LEAVE A REPLY