দৌলতপুরে নাসির উদ্দীন বিশ্বাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বই বাণিজ্য চরমে : অভিভাবকরা বিপাকে

0
331

রনি অাহমেদ: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গায় নাসির উদ্দীন বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গ্রামার ও ব্যাকরণ বই নিয়ে বাণিজ্য চরমে উঠেছে অভিভাবকরা পড়েছে চরম বিপাকে। জানাগেছে এলাকার আল্লারদর্গায় শিল্পপতি নাসির উদ্দীন বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠিত নাসির উদ্দীন বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পরিচালনা কমিটি থাকলেও চলে প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির একক সিদ্ধান্তে, তিনি থাকেন প্রায় এলাকার বাইরে, এ সুযোগেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা, নিয়োাগ সংক্রান্ত বিষয় সেচ্ছা চারিতায় লিপ্ত। বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক ছাত্রীর অভিভাবক ইংরাজী গ্রামার ও বাংলা ব্যাকরণ ক্রয় নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে, বিস্বস্থ সূত্রে জানাগেছে ৩ লাখ টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পপি লাইব্রেরীর গ্রামার ও ব্যাকরণ বই দু’টি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং ক্রয়ের জন্য ক্লাসে ক্লাসে ছাত্রীদের বাধ্য করছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরাজী গ্রামারের মূল্য ৭৭৫/= টাকা ও তার সংগে উত্তর পত্র ৬০/= টাকা, মোট ৮৩৫/= টাকা। ৭ম শ্রেণির গ্রামার ও ব্যাকরণ উত্তরপত্র সহ ৯২৫/= টাকা, ৮ম শ্রেণির গ্রামার ও ব্যাকরণ উত্তর পত্র সহ ৯৪৫/= টাকা, ৯ম শ্রেণির বই দু’টি ১১৭৫/= টাকা ও উত্তর পত্র ১৫০/= টাকা, মোট ১৩২৫/= টাকা উচ্চ মূল্য দিয়ে নিম্ন মানের বই ক্রয় করতে হিমসিম খাতে হচ্ছে অনেক গরীব অভিভাবকদের, এ ব্যাপারে নাসির উদ্দীন বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেচুর এর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।এবং এব্যপারে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক অাহমেদ সাংবাদিকেদর জানান এব্যপারে অামার জানা নাই তবে তারা এরকোম কাজ করে থাকে তাহলে তদন্তকরে অাইনঅনুক ব্যবস্থা নিয়া হবে।তবে উদ্বেগের বিষয় এইযে সরকার বিনা মূল্যে গ্রামার ও ব্যাকরণ বই শিক্ষার্থীদের হাত তুলে দিলেও সরকারী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখায়ে উচ্চ মূল্যে নিম্ন মানের বই ক্রয় করাতে ছাত্রীদের বাধ্য করানো হচ্ছে, অভিভাবকরা আরো জানায় বাজারে আনেক ভাল মানের প্রকাশনীর বই চলমান আছে তাদের দালাল বা বিক্রয় প্রতিনিধি নাই, তারা কোন বিদ্যালয়কে উৎকোচ প্রদান করেনা, তাদের বই দু’টির মূল্য সর্বচ্চ ৫০০/= টাকা। জানাগেছে এলাকায় বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রতিটি বই এর জন্য ২০০/= টাকা থেকে ৩০০/= টাকা হারে ব্যাক্তি গত ভাবে উৎকোচ প্রদান করে, অর্থাৎ ১ হাজার শিক্ষার্থী থাকলে তিনি পেয়ে থাকেন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা, এরপর বিদ্যালয়ের অন্যান্যদের ম্যানেজ করতে দেওয়া হয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত, ঠিক একই ভাবে চলছে গাইড বই নির্ধরণ ও বই বাণিজ্য। এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে একই ভাবে বই বাণিজ্য চলতে থাকলে জাতি মেধা শুন্য হয়ে পড়বে, পাশা পাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অভিভাবকরা, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে না পেরে আনেক ছাত্র/ছাত্রী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে।

LEAVE A REPLY